মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন
অনলাইন রিপোর্ট: টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর ১৯টি বছর পার হয়ে গেছে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে খেলে ফেলেছে ১১৭টি টেস্ট ম্যাচ। এত বেশি অভিজ্ঞতা অর্জনের পরও বাংলাদেশ এই ফরম্যাটে এখনও শিখছে। শেখার শেষ নেই। কিন্তু সেই শেখাটা যদি একেবারেই প্রি-প্রাইমারি কিংবা প্রাইমারি পর্যায়ে থাকে, তখন সেটা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দেয় বেশি।
ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ইন্দোরের পর কলকাতায়- দুই টেস্টেই বাংলাদেশের ইনিংস পরাজয়। নিঃসন্দেহে ভারত টেস্টের এক নম্বর দল। ঘরের মাঠে তারা বেশ ভয়ঙ্করও বটে। কিছুদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার মত দলকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে।
কিন্তু ভারতের কন্ডিশন তো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পরিচিত। সেখানে পরিবেশের সঙ্গে আলাদাভাবে খাপ খাওয়ানোর প্রশ্নই ছিল না। এমন একটি পরিবেশে খেলতে গিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করার কথা। কিন্তু না, উল্টো যাচ্ছেতাই অবস্থা।
ইন্দোরে প্রথম টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অলআউট মাত্র ১৫০ রানে। ভারতের করা ৪৯৩ রানের জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৩ রানে অলআউট হয়ে পরাজিত হলো এক ইনিংস ও ১৩০ রানের বড় ব্যবধানে।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ফ্লাড লাইটের আলোয় গোলাপি বলে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মুমিনুল হক। কিন্তু ভারতীয় পেসারদের তোপের মুখে বাংলাদেশ অলআউট মাত্র ১০৬ রানে। ভারতীয় পেসারদের বাউন্সের আঘাতে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস এবং নাঈম হাসান।
জবাবে ভারত ৩৪৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। ২৪১ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট ১৯৫ রানে। এখানেও পরাজয় এক ইনিংস ও ৪৬ রানের।
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০/এসএম